অফিসের জন্য পারফেক্ট হেয়ারস্টাইল কোনটা?
অফিস মানেই পেশাদার পরিবেশ। আর সেই পেশাদার লুকের একটা বড় অংশ—but often overlooked—is your hairstyle!
একটা গোছানো, পরিষ্কার এবং স্মার্ট হেয়ারস্টাইল আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, আর আপনাকে করে তোলে আরও প্রেজেন্টেবল।
অনেকেই সকালে তাড়াহুড়োতে চুলের দিকে খেয়াল না রেখেই বেরিয়ে যান। কিন্তু বিশ্বাস করুন, একটা পারফেক্ট হেয়ারস্টাইল আপনার লুক এক ধাক্কায় বদলে দিতে পারে।
পারফেক্ট হেয়ারস্টাইল মানে কী?
- পরিষ্কার ও ছাঁটা চুল
- অতিরিক্ত ঢং না করে স্মার্ট আর গোছানো লুক
- যা আপনার মুখের গঠন ও কাজের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হয়
চলুন দেখে নিই, অফিসের জন্য কোন হেয়ারস্টাইলগুলো বেস্ট—
১. ক্লাসিক সাইড পার্ট
কেন বেছে নেবেন:
সবচেয়ে সহজ, শালীন এবং টাইমলেস একটা স্টাইল।
বস হোন বা নতুন জয়েন করা ট্রেইনি, সবার সঙ্গেই যায়।
কীভাবে করবেন:
- এক পাশে সামান্য পার্টিং করে চুল আঁচড়ে নিন
- হালকা হেয়ার জেল বা পোমেড লাগান যাতে সারাদিন সেট থাকে
কাদের মানাবে:
প্রায় সব ধরনের চেহারায়, বিশেষ করে ওভাল ও হৃদয়াকৃতি মুখে।
২. টেক্সচারড ক্রিউ কাট
কেন বেছে নেবেন:
ব্যস্ত অফিস জীবনের জন্য পারফেক্ট—নো ঝামেলা, নো হেয়ার ফিক্সিং!
কীভাবে করবেন:
সেলুনে গিয়ে বলুন টেক্সচারড ক্রিউ কাট দিন। চুল থাকবে ছোট, কিন্তু সামান্য টেক্সচার থাকবে যাতে বোরিং না লাগে।
কাদের মানাবে:
যাদের মুখে ঘাম বেশি হয় বা যারা ঘন ঘন হেয়ার সেট করতে চান না।
৩. ক্লিন ফেড বা মিড ফেড
কেন বেছে নেবেন:
মর্ডান কিন্তু অফিস-ফ্রেন্ডলি স্টাইল। বিশেষ করে তরুণ অফিসগামীদের জন্য।
কীভাবে করবেন:
সেলুনে বলুন দুই পাশ ও পেছন ফেড করে দিতে, আর ওপরের চুল মাঝারি লম্বা রাখতে। চাইলে হালকা জেল দিয়ে ফিনিশিং দিন।
কাদের মানাবে:
যাদের চুল ঘন ও স্ট্রং, এবং যারা একটু ফ্যাশনেবল লুক চান কিন্তু বাড়াবাড়ি করতে চান না।
৪. Ivy League Cut (ইভি লীগ)
কেন বেছে নেবেন:
এটা ক্লাসিক আর এলিগ্যান্ট। কর্পোরেট অফিসে একদম মানানসই।
প্রতিদিন হেয়ার ঠিক করার ঝামেলা নেই।
কীভাবে করবেন:
চুল ছোট, পাশ দিয়ে পার্ট করে আঁচড়ান। সামান্য হেয়ার ক্রিম ব্যবহার করুন।
কাদের মানাবে:
ওভাল বা ডায়মন্ড শেপের মুখে দুর্দান্ত লাগে।
৫. স্লিক ব্যাক লুক (কম্বেড ব্যাক)
কেন বেছে নেবেন:
মিটিং, প্রেজেন্টেশন, বা কর্পোরেট ইভেন্টে এটাই দিবে স্মার্ট, কনফিডেন্ট লুক।
কীভাবে করবেন:
চুল পেছনে করে আঁচড়ে জেল/ক্রিম দিয়ে স্লিক করে দিন। খুব বেশি হেভি জেল ব্যবহার করবেন না।
কাদের মানাবে:
মাঝারি লম্বা চুল যাদের, তাদের জন্য বেস্ট।
অফিস হেয়ারস্টাইল টিপস:
- চুল সবসময় পরিষ্কার রাখুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার শ্যাম্পু করুন।
- সপ্তাহে একদিন কন্ডিশনার বা তেল দিন, না হলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।
- বেশি হেয়ার প্রোডাক্ট (জেল, ওয়্যাক্স) ব্যবহার করবেন না—ত্বক ক্লগ করে।
- চুল যদি সাদা হতে থাকে বা হেয়ারফল হয়, সময়মতো কেয়ার নিন।
শেষ কথা:
অফিসে শুধু কাজের স্কিল নয়, আপনার উপস্থিতি—আপনার “প্রেজেন্স”—একটা বড় ব্যাপার।
আর হেয়ারস্টাইল তার খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিদিন আয়নায় তাকিয়ে শুধু জামা-প্যান্ট নয়, নিজের হেয়ার লুকটাও যাচাই করুন।
চুল ছোট হোক বা বড়—চুল যেন বলে,
"আমি প্রফেশনাল, আমি রেডি!"
আরও পড়ুন: