চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের কৌশল কি? কিভাবে বেছে নেয়া উচিত?
শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে জেনে নিন আপনার চুল কেমন। যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত চুলে অয়েল বেসড এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য ড্রাই হেয়ার শ্যাম্পু বেছে নিন। শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কারের পর কন্ডিশনার লাগান। চুল তৈলাক্ত হলে ময়েশ্চারাইজার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল শুষ্ক হলে নারিশিং শাইন বা স্মুথ অ্যান্ড সিল্কি কন্ডিশনার বেছে নিন। আর স্বাভাবিক চুলে টোটাল কেয়ার কন্ডিশনার বা অল টাইপ হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। স্বাভাবিক ও শুষ্ক চুলের জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন।
অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল গরম করে প্রথমে চুলের গোড়ায় পরে পুরো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় পাগড়ির মতো পেঁচিয়ে ভাপ দিন ১০ মিনিট। সকালে শ্যাম্পু করলে আগের রাতে তেল দিয়ে রাখলে ভালো হয়। সকালে তোয়ালের ভাপ দিন। তৈলাক্ত চুলে তেল দেয়ার দরকার নেই। চুলের যত্নে শ্যাম্পুর আগে আমলা প্যাক ব্যবহার করুন। আমলা প্যাক বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কিংবা ঘরে আমলকী গুঁড়ার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন। চুলে তা আধা ঘণ্টা দিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
শ্যাম্পু করার নিয়ম--
প্রথমে একটা পাত্রে শ্যাম্পু নিয়ে তাতে কিছুটা পানি মিশান। এবার দুই হাতের তালুতে মিশিয়ে তেলের মতো করে চুলের গোড়ায় পরে সব চুলে ভালো করে লাগান। এক থেকে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর বেশি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরই চুলের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনার লাগান। প্রথমে হাত দিয়ে চেপে চুলের বাড়তি পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পুর মতো একই পদ্ধতিতে কন্ডিশনার মাইল্ড করে চুলের আগা থেকে ম্যাসাজ করে গোড়ার দিকে উঠান।
খেয়াল রাখুন, কন্ডিশনার যেন মাথার ত্বকে না লাগে। এক থেকে দুই মিনিট পর কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়া শেষ হয়েছে কি না বোঝার জন্য চুল ধোয়া পানি মগে নিন। যদি পানি একেবারে স্বচ্ছ হয়, তাহলে বুঝবেন ধোয়ার পর্বটা শেষ হয়েছে। এবার তোয়ালে দিয়ে হালকাভাবে চুল মুছুন। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন চুল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন