বোটক্স এবং ঠোঁট ফিলার: সৌন্দর্যের নয়া অধ্যায় সাজুগুজু ২৪

বোটক্স এবং ঠোঁট ফিলার: সৌন্দর্যের নয়া অধ্যায়



সৌন্দর্যের সংজ্ঞা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। বর্তমান সময়ে তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীরাও নিজের চেহারায় একটু পরিবর্তন আনতে আগ্রহী। এজন্যই বোটক্স (Botox) ও ঠোঁট ফিলার (Lip Filler) এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু এই প্রসিডিউরগুলো আসলে কী? এগুলো কীভাবে কাজ করে? এবং কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।



বোটক্স (Botox) কী?

বোটক্স হলো Botulinum Toxin নামক এক ধরনের প্রোটিন, যা মূলত পেশির কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়। এটি সাধারণত বলিরেখা (wrinkles) কমানো, মুখের কিছু নির্দিষ্ট জায়গা টানটান করা, এবং কিছু চিকিৎসা সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করা হয়।

বোটক্সের কাজ কীভাবে করে?

  • এটি মুখের কিছু পেশিকে সাময়িকভাবে দুর্বল বা নিষ্ক্রিয় করে, ফলে বলিরেখাগুলো হালকা বা অদৃশ্য হয়ে যায়।
  • সাধারণত কপাল, চোখের চারপাশ, গলার বলিরেখা কমানোর জন্য বোটক্স ব্যবহার করা হয়।
  • এটি মাইগ্রেন, অতিরিক্ত ঘাম (Hyperhidrosis), চোখের পলক কাঁপুনি (Eyelid Spasms) এর মতো কিছু চিকিৎসাগত সমস্যার সমাধানেও ব্যবহার করা হয়।

বোটক্স কতদিন স্থায়ী হয়?

বোটক্স সাধারণত ৩-৬ মাস স্থায়ী হয়, এরপর নতুন করে নিতে হয়।


ঠোঁট ফিলার (Lip Filler) কী?

যারা ঠোঁটের আকার বড় করতে বা আকৃতি ঠিক করতে চান, তাদের জন্য ঠোঁট ফিলার একটি জনপ্রিয় অপশন। এটি সাধারণত Hyaluronic Acid নামক প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি করা হয়, যা ঠোঁটে ভলিউম যোগ করে।

ঠোঁট ফিলারের সুবিধা

  • ঠোঁট মোটা করা যায়।
  • ঠোঁটের অসমতা দূর করা যায়।
  • ঠোঁটের হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়, ফলে আরও আকর্ষণীয় দেখায়।
  • ৬-১২ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

বোটক্স বনাম ঠোঁট ফিলার: কোনটি আপনার জন্য ভালো?

যদি বলিরেখা কমাতে চান, তাহলে বোটক্স উপযুক্ত। আর ঠোঁটের আকৃতি পরিবর্তন করতে চাইলে ফিলার লাগবে। অনেকেই “Botox Lip Flip” করান, যেখানে ঠোঁটের ওপর সামান্য বোটক্স দেওয়া হয়, যাতে ঠোঁট বেশি উঁচু দেখায়।


প্রসিডিউর নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

বোটক্স বা ফিলার নিলে চেহারা কৃত্রিম দেখাবে?
✔️ না, যদি সঠিক মাত্রায় ও দক্ষ চিকিৎসকের মাধ্যমে করা হয়, তবে চেহারায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় থাকবে।

এই প্রসিডিউরগুলো শুধু সেলিব্রেটিরা করান?
✔️ না, সাধারণ মানুষও এখন এসব করাচ্ছেন, বিশেষ করে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য।

বোটক্স একবার নিলে বারবার নিতে হবে?
✔️ না, তবে এর প্রভাব ৩-৬ মাস পর কমে যায়, তাই অনেকেই নিয়মিত করান।

ফিলার নেওয়ার পর ঠোঁট চিরকাল মোটা থাকবে?
✔️ না, এটি ৬-১২ মাস পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।


শেষ কথা

বোটক্স ও ঠোঁট ফিলার নিয়ে কৌতূহল থাকাটা স্বাভাবিক। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। যদি আপনি সৌন্দর্যে কিছু পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সৌন্দর্য মানেই শুধু বাইরের পরিবর্তন নয়, বরং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

Shana Novak থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
get this widget