কেমন হবে চুলের রঙ! সাজুগুজু ২৪

কেমন হবে চুলের রঙ!

সব কিছুতেই রঙ এর ছোঁয়া যদি লাগে তবে চুলে কেন থাকবে একঘেয়ে রঙ। বিভিন্ন রঙে রাঙ্গিয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসুন সাজে, নিজেকে আবিষ্কার করুণ নতুন রূপে।


অনেকের ধারণা চুলে রঙ করার নতুন যুগের ঘটনা। আসলে কিন্তু তা নয়। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫ অব্দের শুরুর দিকে মিসরের রানী ক্লিওপেট্রা দাস-দাসীদের চুলকে ব্লিচ করতে বাধ্য করতেন। অবশ্য তখন রূপচর্চা ও চুলচর্চা সবটাই ছিল প্রকৃতিনির্ভর। চুলের রঙ করতে বিভিন্ন ধরনের শিকড়, বাদাম, ফল ইত্যাদি থেকে রঙ বের করে লাগানো হতো।

আজকাল বাজারে পাওয়া যায় নানান ধরনের হেয়ার কালার। ত্বকের রঙ, বয়স,আপনার পছন্দ আর ব্যক্তিত্বকে মাথায় রেখে খুঁজে ফেলুন আপনার চুলের রঙ। আবার কখনও কখনও করে ফেলুন একটি পাগলামিও। কিছু না ভেবেই পছন্দের রঙটা দিয়ে রাঙিয়ে নিন চুল। কি যায় আসে। জীবনে একটু পাগলামিও জরুরী। ভয়ের কিছু নেই, বাজারে এখন পাওয়া যায় অস্থায়ী চুলের রঙ বা স্প্রে। যা ধুয়ে ফেললে চলে যায়। আর যদি মনে করেন দীর্ঘদিন ধরে রাখতে চান সেই নতুন লুক, সে ব্যবস্থাও আছে। স্থায়ী রঙগুলো সঠিক পরিচর্যা পেলে টিকে থাকে বেশ কিছু দিন।

যেটা মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে চুলের রঙ পরিবর্তন করলে তা আপনার মুখের উজ্জ্বলতায়ও পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হবে। বিশেষ করে যদি গাঢ় কোনো রঙ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখ উজ্জ্বল বলে মনে হবে। অন্যদিকে হালকা রঙ ব্যবহার করলে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা কম বলে মনে হবে।

যাদের গায়ের রঙ শ্যামলা  তাদের বাদামি লাল, সোনালি, বাদামি, বেগুনি, গোলাপি রঙ বেশি মানায়। আবার রঙ ফর্সা হলে মানাবে সোনালি, ছাই, তামাটে, কমলা, বাদামি লাল, বাদামি, বার্গেন্ডি, নীল ইত্যাদি। হাইলাইট লোলাইটার হিসেবে জাম, গাঢ় বাদামি, গাঢ় বেগুনী, গাঢ় মেজেন্টা রঙ নির্বাচন করুন।

চুল রং করলে চুলের প্রথম দুটি লেয়ারের রঙ-এ পরিবর্তন আসে এতে করে চুলের প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই কালার করলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। কিন্তু এই ভয়ে চুপ করে বসে থাকার কিছু নেই। প্রাকৃতিক উপায়ে, লেবু, কফি, মধু, বিট, মেহেদি দিয়েও অনেকে রাঙিয়ে নিচ্ছেন চুল।
Shana Novak থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
get this widget