চৈত্রের চৈতালি চুলের সাজে
দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে গেল ফাগুন। আসছে চৈত্র। আসছে চৈত্রের ঝাঁজালো দুপুর। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে হূদয় তৃষায় হানে রে/ রজনী নিদ্রাহীন, দীর্ঘ দগ্ধ দিন আরাম নাহি জানে রে।’ এই গরমের আরামহীন চৈতালি দিনগুলোতে নিজেকে ফিটফাট রাখতে একটু বাড়তি সচেতনতা তো লাগবেই। আর রোদ-ঘামের এই সময়ে খুবই জরুরি, কায়দা করে চুল বাঁধা।
গরমে আরামদায়ক চুলের সাজ আপনাকে যেমন স্বস্তি দেবে, তেমনি করে তুলবে সবার থেকে একটু আলাদা, আকর্ষণীয়। তাই এই গরমে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কর্মক্ষেত্র, যেখানেই যান একটু রপ্ত করে নিন চুলের চৈতালি সাজ। চৈত্রের দিনগুলোতে বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা কে কীভাবে চুল বাঁধবেন সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ আমিনা হক।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া
পড়াশোনার পাশাপাশি চুলটাও পরিপাটি করে বাঁধা প্রয়োজন। অনেকেই আবার গরমে চুল কেটে ছোট করেন। আর যারা চুলটাকে একটু যত্ন করে রাখতে চান আবার একটু ফ্যাশন সচেতনও, তাঁরা সামনে ‘টু-স্প্রিং’ করে পেছনে ঝুঁটি করে নিতে পারেন। দেখতেও ভালো লাগবে আর গরম থেকেও পাবেন স্বস্তি।
চাকরিজীবী মেয়েরা
যাঁরা নিয়মিত অফিস করছেন এই গরমে, চুল খোলা রাখা তাদের জন্য কোনো মতেই ভালো হবে না। চাকরিজীবী মেয়েরা চুল সামনে থেকে টেনে ‘পনিটেইল’ করে নিতে পারেন। সব ধরনের চেহারার সঙ্গেই এটা ভালো মানায় এবং গরমে এটা অনেক আরামদায়কও। চুল নিয়ে বাড়তি ঝামেলা না থাকলে আপনার মনও থাকবে প্রফুল্ল।
চৈত্রের গরমে গৃহিণীদের খোঁপার সাজ
গৃহিণীগণ
কথায় আছে ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’। রূপ বিশেষজ্ঞ আমিনা হক বলেন, গৃহিণীরা যেহেতু বেশির ভাগ সময় বাসায়ই থাকেন, তাই তাঁরা পেছনের চুলকে হাফ খোঁপা করে সাজতে পারেন। এ ছাড়া ডাবল ঝুঁটি অথবা বেণি এবং পুরো চুল ক্লিপ দিয়ে বেঁধে রাখলে অনেক স্বস্তি পাবেন। এতে ঘরের কাজেও পাবেন অনেক প্রশান্তি।
নিমন্ত্রণে চুলের সাজ
চৈত্রের দিনে বা রাতে যেকোনো উত্সব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যেতে চাইলে চুল সুন্দর করে বেঁধে নিন। অনেকেই দ্বিধায় থাকেন কীভাবে চুল বাঁধবেন তা নিয়ে। অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে চুল পেছনে কার্ল করে নিলে ভালো হবে। দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগবে এবং গরম থেকেও রেহাই পাবেন।
আর যাঁরা নববধূ আছেন তাঁরা চুলকে ফ্রেঞ্চ রোল এবং ফ্রেঞ্চ বেণি করে সাদা অর্কিড গুঁজে দিতে পারেন, দেখতে অনেক ভালো লাগবে। গরমের অস্বস্তি ভাবও একদম থাকবে না এতে।
এসব চৈতালি চুলের সাজে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। পারলারে গিয়ে অথবা নিজের ঘরেই মনের মতো করে চুলের সাজ আপনি নিতে পারেন। এই সাজে অফিস, বাসা, আবার যেকোনো নিমন্ত্রণেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই।