ফ্যাশনেবল শার্টে আজকের নারী
গত এক দশকে নারীর শিক্ষার হার যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা।এই সময়ে নারীর ফ্যাশনে সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে শার্ট।এই আউটগোয়িং রেডি টু ওয়ারটি এখন হাল ফ্যাশনে তরুণীদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।আন্তর্জাতিক ফ্যাশন অঙ্গনে এবং ডিজাইনারদের চুলচেরা বিশ্লেষনে নারীদের শার্টের নকশায়ও এখন এসেছে বেশ পরিবর্তন।
এসব শার্ট কাটছাঁটে সম্পূর্ণ ভিন্ন খুবই আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ তো বটেই। সিনথেটিক কাপড়ের পরিবর্তে শার্ট তৈরিতে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে নরম সুতি কাপড়। খাদি এবং লিনেনও ব্যবহার হচ্ছে। প্রিন্টের ক্ষেত্রে বড় বড় চেক এখন বেশ জনপ্রিয়।
স্ট্রাইপ বা ছোট চেকও কম জনপ্রিয় নয়। আরামের দিকটা বিবেচনা করলে বাটিক এবং টাইডাইযয়ের শার্ট বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়া একরঙা ও স্ক্রিনপ্রিন্টের শার্ট তো আছেই!
এমব্রয়ডারির নকশাও করা হচ্ছে কোনকোনটিতে।বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং ননব্র্যান্ডের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মেয়েদের জন্য তৈরি করছে বৈচিত্র্যময় ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট।
ফ্যাশন সচেতন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীরা স্কার্ট, জেগিংস বা প্যান্টের সাথে শার্ট পরে থাকে। তবে তা অবশ্যই মানানসই হওয়া চাই। প্যান্টের সাথে যে শার্ট মানাবে তা স্কার্টের সাথে নাও মানাতে পারে।
জিন্স কিংবা ফরমাল প্যান্টের সাথে পরা উচিত ফরমাল শার্ট। আবার বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেনিম-জিন্স প্যান্টের সাথে পরা উচিত ক্যাজুয়াল টাইপের শার্ট। মেয়েদের শার্টে ফিটিংটা খুব জরুরি। সৌন্দর্যের জন্য ফিটিং শার্ট ব্যবহার করা উচিত প্রত্যেক ফ্যাশন সচেতন তরুণীর। শার্টের সুন্দর ফিটিংয়ের জন্য টেকেন কাটিং প্রিন্সেস কাটিং দেয়া যেতে পারে। কাফ, কলার ইত্যাদির মাপ হতে হবে জুতসই।
যেখানে পাবেনঃ
রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব শপিং মলেই পাবেন বাহারি এসব শার্ট। ফ্যাশন হাউস আমবার লাইফস্টাইল, একস্ট্যাসি, ক্যাটস আই,ইয়েলো , জেন্টল পার্ক ওমেন, ওয়েস্টেকস, স্মার্টেক্স, ওটু, ফ্রিল্যান্ড, আর্টিস্টি, তানজিম স্ট্রিটসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানে ঘুরে দেখতে পারেন।
এছাড়া ব্র্যান্ডগুলোর ফেসবুক পেইজে নিত্যনতুন পোশাকের আপডেট পাবেন। আর যদি নিজের পছন্দসই ইউনিক ডিজাইন এর শার্ট পরে সবাইকে তাক লাগাতে চান তাহলে আপনার যেতে হবে আপনার পছন্দসই দর্জি দোকানে।
posted from Bloggeroid