সালাদেও ওজন বাড়ে! সাজুগুজু ২৪

সালাদেও ওজন বাড়ে!

সুস্বাস্থ্য ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সালাদ বেশ উপযোগী। তবে এই খাবার তৈরির সময় কিছু ভুলের কারণে হীতে বিপরীত হতেও পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু দিক তুলে ধরা হয় যেগুলো সালাদকে অস্বাস্থ্যকর করে ফেলছে। কী ধরনের খাবার এবং উপকরণ ব্যবহার সালাদের আসল উদ্দেশ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেগুলো এখানে তুলে ধরা হল।
সালাদ ড্রেসিং: সালাদের স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ‘সালাদ ড্রেসিং’ মেশানো হয়। আর মাঝে মধ্যে বেশি স্বাদের আশায় এর পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে এই স্বাদবর্ধকের ব্যবহারে সালাদের আসল উদ্দেশ্যই পূরণ হয় না। তাই এক বাটি সালাদে এক চামচের বেশি ড্রেসিং ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া ড্রেসিং কী উপাদান দিয়ে তৈরি সে বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। জলপাই তেল দিয়ে তৈরি ড্রেসিং স্বাস্থ্যকর।
পনির: পনিরের স্বাস্থ্যগুণ কম নয়, তবে পরিমাণের অতিরিক্ত পনির খাওয়া ক্ষতিকর। সালাদে আলাদা স্বাদ যুক্ত করতে মোৎজারেলা বা ফেটা চিজের টুকরা ছড়িয়ে দিলেও স্বাস্থ্যগুণের কথা চিন্তা করে এর পরিমাণ যতটা সম্ভব কম দেওয়া উচিত। এছাড়া সালাদে মেয়োনেইজ ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
ড্রাইড ফ্রুটস: শুকনা এবং টিনজাত ফল সালাদে আলাদা স্বাদ যুক্ত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এই ধরনের ফল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ‘প্রিজারভেটিভ’ এবং অতিরিক্ত চিনি যুক্ত করা হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুকনা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
ক্রুটনস: এটি এক ধরনের রুটি, যা টুকরা করে মাখন বা তেলে ভাজা থাকে। এই ধরনের রুটিতে প্রচুর ক্যালরি এবং সোডিয়াম থাকে। তাই সালাদে এই রুটি মেশানো হলে ওজন নিয়ন্ত্রণের বদলে বরং বাড়িয়ে দিতে পারে।
শ্বেতসারযুক্ত সবজি: মটরশুঁটি, ভুট্টা, আলু এই ধরনের সবজিগুলোতে প্রচুর শ্বেতসার থাকে। তাই সালাদে এই সবজিগুলোর আধিক্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাঁধ সাধবে।

Shana Novak থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
get this widget